লিভার সুস্থ আছে মানেই শরীর ভাল আছে। কারণ লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি রক্ত থেকে টক্সিন ছেঁকে বার করে, হজমে সাহায্য করে এমন পিত্তরস তৈরি করে, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ জমিয়ে রাখে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলিকে ভাঙতেও সাহায্য করে। কিন্তু নানা কারণে লিভারের উপর চাপ বাড়তে থাকে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অলস জীবনযাপন, অতিরিক্ত মদ্যপান কিংবা কিছু জিনগত কারণ, সব মিলিয়ে লিভার আক্রান্ত হতে শুরু করে। ফ্যাটি লিভার থেকে শুরু করে সিরোসিস কিংবা হেপাটাইটিসের মতো জটিল অসুখের প্রবণতা বাড়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সময় থাকতেই যদি লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা যায়, তা হলে বহু জটিল অসুখকে রুখে দেওয়া সম্ভব। অনেক সময় লিভারের সমস্যা থাকলে স্কিনে তা ফুটে ওঠে। এই প্রসঙ্গে এআইআইএমএস এবং হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত লিভার বিশেষজ্ঞ এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডঃ সৌরভ শেঠি সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এমন চারটি ত্বকের উপসর্গের কথা তুলে ধরেছেন, যেগুলি লিভারের অসুখের লক্ষণ হতে পারে।
১. ত্বকের হলদেটে হয়ে যাওয়া: ডঃ শেঠির মতে, রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যেতে পারে, যাকে জন্ডিস বলা হয়। এটি লিভারের সমস্যার অন্যতম প্রাথমিক উপসর্গ। কারণ, বিলিরুবিন প্রসেস করার দায়িত্ব লিভারের।
২. স্পাইডার অ্যাঞ্জিওমা: চামড়ার উপরে ছোট ছোট লাল রঙের, মাকড়সার জালের মতো ছড়ানো রক্তনালী দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে মুখ, গলা বা বুকে। চিকিৎসকদের মতে, এটি ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফল। আর তা হতে পারে লিভারের সমস্যার কারণেই।
৩. পামার এরিথেমা: হাতের তালু লাল হয়ে যাওয়া ও ফোলাভাব, এই উপসর্গকে বলে পামার এরিথেমা। এটি লিভার ড্যামেজের কারণে রক্তপ্রবাহ বাড়ার ফলেই হতে পারে। এর পেছনেও থাকতে পারে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রভাব।
৪. চুলকানি: যদি শরীরে কোনও দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই চুলকানি শুরু হয় এবং সেটা বিশেষ করে রাতে বাড়ে, তাহলে তা লিভারের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। কারণ, লিভারের সমস্যায় ত্বকে পিত্তলবণ জমে গিয়ে চুলকানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।
কীভাবে বাঁচাবেন লিভারকে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা আর সময়মতো সতর্কতা নিলেই লিভার সুস্থ রাখা সম্ভব। তার জন্য প্রয়োজন-
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
নিয়মিত শরীরচর্চা
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
পরিশ্রুত জল পান
টক্সিন বা রাসায়নিক এড়ানো
নিয়মিত মেডিক্যাল চেক-আপ
লিভার সুস্থ থাকলে শরীরও থাকবে সুস্থ। আর স্কিনের এই সমস্যাগুলো হলে এড়িয়ে যাবেন না।
চিকিৎসকরা বলছেন, সময় থাকতেই যদি লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা যায়, তা হলে বহু জটিল অসুখকে রুখে দেওয়া সম্ভব। অনেক সময় লিভারের সমস্যা থাকলে স্কিনে তা ফুটে ওঠে। এই প্রসঙ্গে এআইআইএমএস এবং হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত লিভার বিশেষজ্ঞ এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডঃ সৌরভ শেঠি সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এমন চারটি ত্বকের উপসর্গের কথা তুলে ধরেছেন, যেগুলি লিভারের অসুখের লক্ষণ হতে পারে।
১. ত্বকের হলদেটে হয়ে যাওয়া: ডঃ শেঠির মতে, রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যেতে পারে, যাকে জন্ডিস বলা হয়। এটি লিভারের সমস্যার অন্যতম প্রাথমিক উপসর্গ। কারণ, বিলিরুবিন প্রসেস করার দায়িত্ব লিভারের।
২. স্পাইডার অ্যাঞ্জিওমা: চামড়ার উপরে ছোট ছোট লাল রঙের, মাকড়সার জালের মতো ছড়ানো রক্তনালী দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে মুখ, গলা বা বুকে। চিকিৎসকদের মতে, এটি ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফল। আর তা হতে পারে লিভারের সমস্যার কারণেই।
৩. পামার এরিথেমা: হাতের তালু লাল হয়ে যাওয়া ও ফোলাভাব, এই উপসর্গকে বলে পামার এরিথেমা। এটি লিভার ড্যামেজের কারণে রক্তপ্রবাহ বাড়ার ফলেই হতে পারে। এর পেছনেও থাকতে পারে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রভাব।
৪. চুলকানি: যদি শরীরে কোনও দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই চুলকানি শুরু হয় এবং সেটা বিশেষ করে রাতে বাড়ে, তাহলে তা লিভারের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। কারণ, লিভারের সমস্যায় ত্বকে পিত্তলবণ জমে গিয়ে চুলকানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।
কীভাবে বাঁচাবেন লিভারকে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা আর সময়মতো সতর্কতা নিলেই লিভার সুস্থ রাখা সম্ভব। তার জন্য প্রয়োজন-
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
নিয়মিত শরীরচর্চা
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
পরিশ্রুত জল পান
টক্সিন বা রাসায়নিক এড়ানো
নিয়মিত মেডিক্যাল চেক-আপ
লিভার সুস্থ থাকলে শরীরও থাকবে সুস্থ। আর স্কিনের এই সমস্যাগুলো হলে এড়িয়ে যাবেন না।